প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে পুনরায় প্রার্থী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ঘটনাবলী সম্পর্কে কী ভাবছেন তা ‘স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ’। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারে তাদের কাজ সত্য বলা।
তিনি বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বাধ্যতামূলক উপায়ে সত্য বলা।’
আলম বলেন, শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সকল বিদেশী সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তারপরও অতিরঞ্জিত। মিথ্যা কোনো বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায় না, জনগণের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪-এর নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম এক্স ও ট্রুথ সোশ্যাল-এ অক্টোবর ৩১-এ এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই, যারা বাংলাদেশে মব দ্বারা আক্রমণ ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, দেশটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।’
তিনি পোস্টে হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সমালোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ২৬ সেপ্টেম্বর, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের এক বিরতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ওই সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, দুর্নীতি রোধ, শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যসহ বাংলাদেশের সকলের জন্য মানবাধিকার সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
সূত্র : ভিওএ